চাঁপাইনবাবগঞ্জ | শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ info@mohanonda24.com +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩
বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান-শিক্ষিকা মোছাঃ রাবেয়া খাতুন কে জনস্বার্থে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে ঢাকাতে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে পরবর্তী আদেশ পর্যন্ত বদলি করা হয়েছে।

অবশেষে বদলি হলেন বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা

হ.আ/রিপোর্টার | প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০২৩ ২৩:২৫

হ.আ/রিপোর্টার
প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০২৩ ২৩:২৫

সংগৃহিত ছবি

নিউজ ডেস্ক:- অভিভাবককে অপদস্ত করার সঙ্গে জড়িত থাকা বগুড়া  সরকারি  বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধন শিক্ষিকাকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে ওএসডি করা হয়েছে। গতকাল (৯ এপ্রিল) রোববার মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ রাবেয়া খাতুনকে  বগুড়া থেকে বদলির আদেশ জারি করেছে মাউশি।


প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান-শিক্ষিকা মোছাঃ রাবেয়া খাতুন কে জনস্বার্থে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে ঢাকাতে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে পরবর্তী আদেশ পর্যন্ত বদলি করা হয়েছে।

সম্প্রতি বগুড়ায় সাধারণ অভিভাবক কর্তৃক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক পদে থাকা এক অভিভাবকের পা ধরতে বাধ্য করার ঘটনায় জরিত থাকার অভিযোগ উঠে  রাবেয়া খাতুনের  বিরুদ্ধে। ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষাকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন।

আগামী (১৩ এপ্রিলের) মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে সম্প্রতি ২১ মার্চের ওই প্রধান শিক্ষিকার কক্ষে চলা কথোব্ব-কথনের একটি  অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যেখানে বিচারক অভিভাবকদের পক্ষ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মামলার ভয়ভীতি প্রদর্শনের প্রমান পাওয়া যায় প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। তার পর পরই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।


একই ঘটনায় (২৩ মার্চ) অভিযুক্ত  বিচারক রুবাইয়া ইয়াসমিনকে বিচারিক ক্ষমতা প্রত্যাহার করে মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আইন মন্ত্রণালয়।

এর আগে শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেওয়া নিয়ে সাবেক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের মেয়ের অপ্রীতিকর পোস্ট কে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাল্টা-পাল্টি মন্তব্য নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত হয়। এক পর্যায়ে বিচারক রুবাইয়া ইয়াসমিন স্কুলে এসে প্রধান-শিক্ষিকার মাধ্যমে তার মেয়ের কিছু সহপাঠী ও তাদের অভিভাবকদের ডেকে পাঠান। সাধারন শিক্ষার্থীদের অভিযোগ প্রধান-শিক্ষিকা ও শ্রেণি শিক্ষিকার উপস্থিতিতে তাদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার ভয় দেখানো হয়। একইসঙ্গে এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হয় যতে ভুক্তভোগী অভিভাবকরা ওই বিচারকের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন।

পরিপেক্ষিতে (২১ মার্চ) দুপুর থেকে স্কুলের সামনের সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন ক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা। 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: