চাঁপাইনবাবগঞ্জ | বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ info@mohanonda24.com +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩
বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের মধ্যদিয়ে এ দেশের জনগণ পেয়েছে একটি লাল-সবুজের পতাকা,পেয়েছে একটি স্বাধীন ভূখণ্ড।

স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের প্রতিফলন

এম এ করিম/স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০২৩ ০৩:৪৫

এম এ করিম/স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০২৩ ০৩:৪৫

সংগৃহিত ছবি (ইন্টারনেট)

বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের মধ্যদিয়ে এ দেশের জনগণ পেয়েছে একটি লাল-সবুজের পতাকা,পেয়েছে একটি স্বাধীন ভূখণ্ড। স্বাধীন সার্বভৌম রক্তিম পতাকা বাংলাদেশ ও স্বাধীনতার মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের প্রতিফলন। বাংলাদেশ স্বাধীনতার দীর্ঘ পরিক্রমার শোষণ মুক্তির প্রত্যাশার ফলক। সুবিন্যস্ত সমাজ হিসেবে বাংলাদেশের জন্ম প্রায় সাড়ে চার হাজার বছর আগে,আর স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম মাত্র ৫০ বছর পেরিয়ে,জন্ম সূচনলগ্ন থেকে এ দেশের ইতিহাস অনেক ত্যাগের। এ বীজ অতীতে নিহত সূচক শাসন বৈষম্য অবিচারকে বাঙালি জাতি কখনোই সহজভাবে মেনে নিতে পারেনা।

বাংলাদেশের দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিল সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবাদ। এ দীর্ঘ ইতিহাসে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সবচেয়ে বড় অর্জন। অর্থনৈতিক,সামাজিক, সাংস্কৃতিক প্রভৃতি বৈষম্য ও অন্যায়ের প্রতিবাদস্বরূপ এক মহান আদর্শের উদ্বুদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত সংগ্রামের মাধ্যমে বাঙালি জাতি ছিনিয়ে আনে এ দেশের স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালে ২৫ শে মার্চ পাকিস্তানের পশু শক্তি বাংলাদেশে এক অশুভ ও অন্যায় যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল।বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে যোগ্যতম প্রত্যুত্ত্ব দিয়ে গতি প্রকৃতি ও বৈষম্যে মহিমান্বিত ও গৌরব উজ্জ্বল স্বাধীন বাংলাদেশ।তৎকালীন অন্যায় অত্যাচার নির্মম ও বর্বরতার বিরুদ্ধে প্রস্তুত যুদ্ধ ও শাসন,শোষণ সর্বাত্মক জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ।

১৯৭১ সালে ২৬ শে মার্চ থেকে এই যুদ্ধ শুরু হয়,দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বরে এ যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে।স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ মুখরিত হয় স্বাধীনতা অর্জনের জায়গান।বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ইতিহাস একটি যুগান্তকারী ঘটনা।সুদীর্ঘ পটভূমিতে১৯৭১ সালে বীর বাঙালি দল মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গড়ে তুলে দুর্বার প্রতিরোধ আন্দোলন।পাকিস্তানি শাসন গোষ্ঠীর বৈষম্য ও অত্যাচার থেকে মুক্তি ও স্বাধীনতার সূর্য ছিনিয়ে আনাই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য।স্বাধীনতার পূর্বে অর্থনৈতিক অঙ্গনে পূর্ব পাকিস্তান ছিল চরম বৈষম্যের শিকার।পূর্ব পাকিস্তান পরিণত হয়েছিল পশ্চিম পাকিস্তানের উপনিবেশ ও শিল্প কল-কারখানার প্রধান কাঁচামালের যোগানদাতা।বাংলাদেশ স্বাধীনতার সংগ্রামের মূলেই ছিল অর্থনৈতিক শোষণ,মুক্তি ও উন্নতি।

বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম চেতনা ছিল রাজনৈতিক থেকে সামরিক বাহিনীর প্রভাবমুক্ত,কিন্তু স্বাধীনতা অর্জনের অল্প কিছুদিনের মধ্যেই কতিপয় সেনা সদস্য কর্তৃক জাতির জনক শেখ মুজিবকে সপরিবারে হত্যা করে সে চেতনা ধূলিসাৎ করে দেয়।স্বাধীনতার জন্য লক্ষ জনতা যেমন প্রাণ দিয়েছে,তেমনি হাজার হাজার মা-বোন দিয়েছে তাদের ইজ্জত।এ যুদ্ধের মধ্যমে শুধুমাত্র ভৌগোলিক স্বাধীনতা অর্জনের একমাত্র লক্ষ্য ছিল না, বাঙ্গালীদের লক্ষ্য ছিল অনেক বিস্তৃত। আর সেটা ছিল জনগণের মুক্তি অর্জন। দীর্ঘ নয় মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের ফলে পরাজিত হয় হাজার হাজার পাকহানাদার বাহিনী।বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌমদেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ পায়। এতে করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বাঙালিরা অর্জন করে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: