
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী অঞ্চল পরিচালিকা ও ইসলামিয়া কলেজের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপিকা মুহতারামা সাবরিনা সারমিন বনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “৩৬ জুলাই-এর গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের আত্মত্যাগ ও সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়। এই আন্দোলন সরকারের বিরুদ্ধে নয়, বরং দেশের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই ছিল। শহীদদের রক্ত ও মা-বোনদের আত্মত্যাগ আমাদের ইসলাম প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অবিচল রাখে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের শতশত বোন নির্যাতিত হয়েছেন, কারাবরণ করেছেন, মানসিক নিপীড়নের শিকার হয়েছেন—এসব কিছুই আমাদের ঈমানকে আরও মজবুত করেছে। সংসার থেকে সংসদ—সব জায়গাতেই ইসলাম প্রতিষ্ঠা চাই। এখনো ক্ষমতায় যাবার সময় আসেনি, আগে আদর্শিক সংস্কার দরকার।”
বক্তব্য শেষে তিনি সরকারের প্রতি চার দফা দাবি উত্থাপন করেন:
১. ৩৬ জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি দিয়ে একটি ‘জুলাই সনদ’ প্রণয়ন
২. বর্তমান সংবিধান সংস্কার
৩. শহীদ পরিবারগুলোর পুনর্বাসন
৪. আহতদের চিকিৎসার সরকারিভাবে ব্যবস্থা
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামী মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি মুহতারামা নিলুফা খাতুন বেলি। সঞ্চালনায় ছিলেন সাহিদা আক্তার নুরানি ও তহমিনা খাতুন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুহতারামা আয়েশা হাসিন। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি মুহতারামা আনজুমান আরা।
আলোচনা সভা শেষে শহীদদের স্মরণে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ওয়ার্ড থেকে আগত শতাধিক নারী সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: