চাঁপাইনবাবগঞ্জ | সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ info@mohanonda24.com +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩
জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে আবারও হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী।

আল-আকসায় ইসরাইলি হামলা, ৪০০ মুসল্লি গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশিত: ৬ এপ্রিল ২০২৩ ০০:২১

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: ৬ এপ্রিল ২০২৩ ০০:২১

সংগৃহিত ছবি

অনলাইন ডেস্ক: জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে আবারও হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। এসময় শতাধিক ফিলিস্তিনি মুসল্লিকে গ্রেপ্তার করে জেরুজালেমের আতারোতের একটি থানায় নেয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানান, বুধবার অন্তত ৪০০ ফিলিস্তিনি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তারা এখন ইসরাইলের হেফাজতে রয়েছে। যাদের মধ্যে অধিকাংশই নামাজে আসা সাধারণ মুসল্লি। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইসরাইলি পুলিশ মসজিদের ভেতরে ঢুকে ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের ওপর স্টান গ্রেনেড এবং কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করেছে। যার ফলে মসজিদে আসা মুসল্লিদের প্রায় দম বন্ধ হয়ে যায়, এতে আহত হন অনেকে। 

ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের অভিযোগ, হামলার সময় আল-আকসায় চিকিৎসকদেরও যেতে দেয়নি ইসরাইলি দখলদার পুলিশ। এ হামলা আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। 

কান্নারত অবস্থায় একজন বয়স্ক নারী আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, আমি একটি চেয়ারে বসে কুরআন তেলাওয়াত করছিলাম, মসজিদের বাইরে বসে শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। তারা স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে, এর একটি আমার বুকেও আঘাত করেছে।

সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, হামলায় মসজিদের ভেতর ও বাইরের বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।   

এদিকে ইসরাইলি পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, "মুখোশধারী আন্দোলনকারীরা" আতশবাজি, লাঠি এবং পাথর নিয়ে মসজিদের ভেতরে অবস্থান করাই পুলিশ কম্পাউন্ডে প্রবেশ করতে বাধ্য হয়েছিল। 

এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তারা বলছেন, ইসরাইলি দখলদার বাহিনী পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।  

আল-জাজিরার নাতাশা ঘোনিম বলেছেন, আক্রমণগুলো প্রত্যাশিত ছিল কারণ সোশ্যাল মিডিয়াতে ফিলিস্তিনিদের আল-আকসায় আসার এবং "দখলকারীদের হাত থেকে রক্ষা করার" আহ্বান জানানো হয়েছিল।

ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়েহ এক বিবৃতিতে বলেছেন, জেরুজালেমে যা ঘটেছে তা মুসল্লিদের বিরুদ্ধে একটি বড় অপরাধ। আল-আকসা মসজিদে নামায পড়ার জন্য ইসরাইলিদের অনুমতির প্রয়োজন নেই, বরং এটা আমাদের অধিকার।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: