
সমাবেশে হেফাজতের শীর্ষ নেতারা বলেন, “শেখ হাসিনার মতো ভুল করবেন না। ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে ইসলামের পরিপন্থী নীতি প্রয়োগ করলে পরিণতি ভয়াবহ হবে।”
‘নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন অবিলম্বে বাতিল করুন’
হেফাজতের আমির আল্লামা শাহ্ মুহিব্বুল্লাহ্ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনকে “কুরআন-সুন্নাহবিরোধী” আখ্যা দিয়ে তা অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানানো হয়।
নেতারা অভিযোগ করেন, "এই কমিশনের সদস্যরা নারী না পুরুষ বোঝা যাচ্ছে না, কিন্তু যেসব সুপারিশ করা হয়েছে, তা ইসলামী শরিয়তের স্পষ্ট বিরোধী। এই প্রতিবেদন পাস করা হলে জীবন দিয়ে প্রতিরোধ করা হবে।"
‘শাপলা চত্বর গণহত্যার বিচার চাই’
বক্তারা বলেন, “পিলখানা, জুলাই আন্দোলনের মতো ঘটনায় তদন্ত কমিশন ও ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হলেও ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে সংঘটিত গণহত্যার জন্য কোনো তদন্ত কমিশন করা হয়নি।”
তারা এই ঘটনার বিচার এবং দায়ীদের শাস্তির দাবি জানান।
‘শেখ হাসিনার আমলের মামলা এখনো প্রত্যাহার হয়নি’
বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মামলাগুলো প্রত্যাহার হলেও হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার আমলে দায়ের করা মামলা এখনো বহাল রয়েছে। এসব ‘অন্যায় ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত মামলা’ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।”
‘ইউনূস সরকারও একই পরিণতির মুখে পড়তে পারে’
নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "আপনারা কেনো নারীদের দিয়ে আলেমদের উস্কে দিচ্ছেন? এ ধরনের কাজ করলে ইউনূস সরকারকেও শেখ হাসিনার মতো দিনের আলোতে পালাতে হতে পারে।"
‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির হুমকি
হেফাজত নেতারা জানান, “নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাতিল না হলে হেফাজতে ইসলাম 'মার্চ টু ঢাকা' কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।” তারা বলেন, “১৮ কোটি মুসলমানের ধর্মবিশ্বাসের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র হলে তা জীবন দিয়ে হলেও প্রতিহত করা হবে।”
ফিলিস্তিন ও ভারতের মুসলিম নিপীড়ন বন্ধে সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি
মহাসমাবেশ থেকে ফিলিস্তিন এবং ভারতের মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন বন্ধে বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে কূটনৈতিকভাবে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: