
আগামী বছর থেকে একটি পরীক্ষা নিয়ে জাতীয় মেধাক্রম তৈরির মাধ্যমে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে একটি ভর্তি পরীক্ষা হবে বলা জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেন গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রমে হয়রানি ও ব্যয় কমেছে। তবে নতুন কোনো পদ্ধতি চালু করতে গেলে সেখানে কিছু সমস্যা হয়। এ ক্ষেত্রেও কিছু সমস্যা হচ্ছে। জাতীয় একটি মেধাতালিকা হবে, সেই তালিকা অনুসারে ভর্তি হবে।
আজ বুধবার (১৫ মার্চ) কুষ্টিয়ার দৌলতপুর কলেজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান মেলা উদ্বোধন করে শিক্ষামন্ত্রী। পরে আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, র্যাগিং একেবারেই নিষিদ্ধ, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে র্যাগিং বন্ধ করার চেষ্টা করছি। এটি একটি সামাজিক সমস্যা। শুধুমাত্র আইন করে কিংবা শিক্ষকদের দিয়ে বলিয়েই হবে না। র্যাগিং বন্ধে এর বিরুদ্ধে মানসিকতা ও একটি সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সবাই চাওয়া সত্ত্বেও, আইন থাকা সত্ত্বেও বিশ্বের অনেক জায়গায় এখনও র্যাগিং হয়। এতে অনেক শিক্ষার্থীর জীবন ধ্বংস হয়ে যায়। এটি কারো কাম্য নয়। র্যাগিং বন্ধে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে, এতে গণমাধ্যমেরও ভূমিকা রয়েছে।
এর আগে তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান মেলা উদ্বোধন উদ্বোধন করেন। স্টাল ঘুরে দেখেন। উদ্বোধনী আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. শরীফ এনামুল কবির, স্থানীয় দৌলতপুর আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আ.ক.ম সরওয়ার জাহান বাদশা প্রমুখ।
‘বিজ্ঞান শিক্ষায় শিক্ষিত দেশ, আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ’ এই শ্লোগানে দৌলতপুর কলেজের বিজ্ঞান মেলায় ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ অংশ নেয়।
বিজ্ঞান মেলায় শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান মূল্যায়নের উদ্দেশ্য কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়।
মেলায় কলেজের শিক্ষার্থীরা বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং উদ্ভাবনী বিভিন্ন বিজ্ঞান প্রকল্প নিজ নিজ স্টলে প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া মেলায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভবনী প্রকল্প প্রদর্শনের জন্য একটি স্টল ছিল। প্রকল্পগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, আইওটি ভিত্তিক ইস্মার্ট উপস্থিত ব্যবস্থাপনা, খাদ্যদ্রব্যে অল্প খরচে ফরমালিন সনাক্ত করন, ভাসমান ঘর তৈরিকরণ, আইওটির সাহায্যে কৃষি জমিতে পানি সেচ দেওয়া, পলিথিন থেকে পেট্রোলিয়াম ও গ্যাস উৎপাদন, স্মার্ট ক্যাম্পাস প্রভৃতি। শিক্ষামন্ত্রী উপাচার্যসহ
বিজ্ঞান মেলায় আগত অতিথিরা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রকল্প ঘুরে দেখেন। এসময় মেলায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: