চাঁপাইনবাবগঞ্জ | সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ info@mohanonda24.com +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩
রোজা আল্লাহ তা'আলার কাছে খুবই পছন্দনীয় একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত।

সিয়াম পালনের উদ্দেশ্য আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জন

এম এ করিম/স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২৩ ০২:০৬

এম এ করিম/স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২৩ ০২:০৬

সংগৃহিত ছবি (ইন্টারনেট)

রোজা আল্লাহ তা'আলার কাছে খুবই পছন্দনীয় একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত। আত্মার পরিশুদ্ধি, তাকওয়া অর্জন ও মহান আল্লাহর সাথে ঐকান্তিক সম্পর্ক স্থাপনের অন্যতম মাধ্যম রোজা।

পবিত্র কুরআনের সূরা আল বাকারা-১৮৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, হে ঈমানদারগণ তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববতী লোকদের উপর যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার।মানবিকতা বিকাশ নৈতিকতা উন্নতি এবং আধ্যাত্মিক শক্তি সঞ্চয়ের রোজার মতো তুলনাবিহীন ইবাদত আর নেই।

হযরত আবু উমামা রাহিনী (রাঃ) বর্ণিত রাসূল (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করা করেছে হে আল্লাহর রাসূল আমাকে একটি আমলের কথা বলুন তিনি বলেন রোজা রাখো রোজার মত আর কোন উত্তম ইবাদত নাই (শুনানে নাসায়ী) সকল বান্দায় আল্লাহর দয়া রহমত ও অনুগ্রহের উপর সম্পূর্ণরূপী নির্ভরশীল তার সাথে বান্দা সম্পর্ক নিবিড় চিরস্থায়ী। তবে বান্দার উদাসীনতা অবহেলা উচ্ছলতা প্রকৃতি এবং অজ্ঞতার কারণে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে দূরত্ব সৃষ্টি হয়।

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত রাসূল (সাঃ) বলেন,যখন রমজান মাস আসে তখন আসমানের দরজা সমূহ খুলে দেওয়া হয় ও জাহান্নামের দরজা সমূহকে বন্ধ করে দেওয়া হয়,আর শয়তান কে করা হয় শৃঙ্খলাবন্দি।(সহি আল বুখারী) মুসলিম উম্মাহ আল্লাহর সাথে বান্দার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের মান সারা বছর উঠানামা করে,তবে প্রতিবছরই পবিত্র মাহে রমজানে মুমিন বান্দারা আল্লাহর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার সুযোগ পায়।এজন্য পবিত্র রমজান মাস রহমতের মাস আল্লাহর সান্নিধ্যে ফিরে আসার মাস। আব্দুল্লাহ ইবনুর ওমর (রাঃ)থেকে বর্ণিত রোজা এবং কুরআন মহান আল্লাহর নিকট বান্দার জন্য সুপারিশ করবে রোজা বলবে হে পারোওয়ারদিগার আমি তাকে দিনের বেলায় পানাহার ও প্রবৃত্তি থেকে বিরতি রেখেছি,আর কুরআন বলবে আমি তাকে নিদ্রা থেকে বিরতি রেখেছি সুতরাং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন।মুসলিম উম্মাহ ক্ষমাপ্রার্থীর জন্য আল্লাহর সীমাহীন অনুগ্রহের নির্দেশন পবিত্র রমজান মানেই আত্মসংযম,ধৈর্য সহ রোজাদারের সাথে আল্লাহর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।

মাহে রমজান অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ও বরকতময় মাস এটি রহমত বরকত মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে মুমিনদের মাঝে বছরে একবার সমাগত।মহান আল্লাহ তায়ালা রমাদান মাসকে যেমনভাবে সম্মানিত করেছেন ঠিক তদ্রুপ এ মাসের ফরজ ইবাদত রোজাদরদেরকেউ অত্যন্ত ফজিলত পূর্ণ করেছেন।হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)থেকে বর্ণিত আল্লাহ তা'আলা বলেন মানব সন্তানের যাবতীয় কাজ তার নিজের জন্য,আর সিয়াম স্বাধন আমার জন্য আমি তার প্রতিদান নিজেই দিব।রাসূল (সাঃ)অনুসৃতি রোজাদারদের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মেসুখের সুগন্ধির চেয়েও বেশ উৎকৃষ্ট। সমুদ্রের মৎস্যকুল পর্যন্ত রোজাদারের জন্য ইফতারের পূর্ব সময় ধরে আল্লাহর নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করে,রমজান মাসের আল্লাহর রাব্বুল আলামিন প্রত্যেকদিন রোজাদারদের জন্য জান্নাতকে সুসজ্জিত করেন।মুমিন বান্দা রোজার ফজিলত হাসিলের জন্য আল্লাহর কাছে শুভে সাদিক থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোন কিছু পানাহার জৈবিক চাহিদায় বিরতি থেকে কানকে নিষিদ্ধ কিছু শ্রবণ ও চোখকে হারাম দৃশ্য থেকে অবলোকন, মুখ কে অশ্লীল নিষিদ্ধ কথাবার্তাব ও হাত পা সহ শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আল্লাহর কাছে অপছন্দনীয় কাজ থেকে বিরতি থেকে নিজেকে আল্লাহর কাছে সৌপদ্ধন করায় রোজার মাধ্যমে মুমিন আল্লাহর নিকট সান্নিধ্য লাভ করেন।

এদিকে স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদের দৃষ্টিতে রোজা স্বাস্থ্যের অনেক উপকার রয়েছে।ডায়েট কন্ট্রোল রোগীদের জন্য রোজা অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে,তাছাড়া ইফতারের সময়কাল ভালো মানের খাদ্য শরবতসহ পুষ্টিকর খাবার ও তারাবির নামাজ দীর্ঘক্ষণ বলে হাত পায়ে হাটু মাজা কোমর হাড় কার্যকারী নিয়মাধী ব্যায়ামে উপকারিতা বলে জানা যায়।

সিয়াম রোজাদারদের অত্যন্ত অতুলনীয় সম্মান ও তার মর্যাদা,দুনিয়ার কোন সম্মানী ব্যাক্তির নিকট হতে কোন পুরস্কার নেওয়ার প্রতি মানুষের অত্যন্ত আগ্রহ তৈরি হয়,আর মহান আল্লাহ তায়ালা রোজাদারদের রোজার প্রতিদান নিজেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিশ্ব জাহানের একচ্ছত্র মালিক আল্লাহ সুবহান ওয়া তা'আলা বিষয়টি কতইনা মর্যতাপূর্ণ ও গৌরবের।কিয়ামতের দিন এই পৃথিবী রাজাধিরাজের শ্রেষ্ঠ রাজাধিরাজ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী মহান আল্লাহ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিজ হাতে সিয়াম পালনকারীর পুরস্কার দিবেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: