-2025-01-18-18-48-48.jpg)
দীর্ঘ ১৫ বছর পর রাজশাহীতে প্রকাশ্যে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা ও মহানগরী জামায়াতের আয়োজনে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে এই সম্মেলন শুরু হয়। মাদরাসা মাঠে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। কানায় কানায় পূর্ণ হয়েছে ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠ।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ৯টায় জামায়াতের এই কর্মী সম্মেলন উদ্বোধন ঘোষণা করেন ৫ আগস্ট রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ সাকিব আনজুমের পিতা মাইনুল হক। এসময় বক্তব্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। কুরআন তিলাওয়াত দিয়ে সম্মেলন শুরু হয়। তিলাওয়াত করেন মাওলানা আরিফুল ইসলাম। সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জামায়াতের রাজশাহী জেলা আমির অধ্যাপক আব্দুল খালেক। হামদ পেশ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিকল্প সাংস্কৃতিক সংসদ।
কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের নায়েবে আমির রাজশাহীর সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ঢাকা দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল ও রাজশাহী অঞ্চল পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের মহানগরীর আমির ড. কেরামত আলী। ব্যবস্থাপনায় ছিলেন রাজশাহী জেলা আমির অধ্যাপক আব্দুল খালেক।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম ও মোবারক হোসাইন, সাংগঠনিক সেক্রেটারি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, পাবনা জেলা আমির অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আমির মাওলানা আবুযর গিফারী, নাটোর জেলা আমির ড. মীর নুরুল ইসলাম, নওগাঁ জেলা আমির খন্দকার মো. আব্দুর রাকিব, রাজশাহী জেলার নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল খালেক, মহানগরীর নায়েবে আমির এডভোকেট আবু মোহাম্মদ সেলিম, যুব বিভাগের সেক্রেটারি সালাহউদ্দিন আহমেদ, জেলার মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি মাওলানা ইসমাইল আলম আল হাসানী, মহানগরীর উলামা বিভাগের সেক্রেটারি মাওলানা রুহুল আমিন, খেলাফতে মজলিশের রাজশাহী মহানগরীর সভাপতি মুফতি মোহাম্মদ আবুল বাশার, হেফাজতে ইসলামের আহবায়ক মাওলানা হাবিবুর রহমান কাসেমী, ছাত্রশিবিরের জেলা পশ্চিম শাখার সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, জেলা পূর্বের সভাপতি রুবেল আলী, মহানগরীর সাংগঠনিক সেক্রেটারি জসিম উদ্দিন সরকার, জেলার শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক কামরুজ্জামান, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নাজমুল হক, মহানগরীর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুস সামাদ, জামায়াতের রাজশাহী মহানগরীর সহকরী সেক্রটারি অধ্যক্ষ মাহবুবুল আহসান বুলবুল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক নওসাজ জামান, মহানগরী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী মো. ইমরান নাজির, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারী মুজাহিদ ফয়সাল।
শনিবার ভোর থেকেই জেলার পবা, মোহনপুর, তানোর, গোদাগাড়ী, পুঠিয়া, দুর্গাপুর, বাঘা, চারঘাট ও বাগমারা উপজেলা থেকে কর্মী সম্মেলনে দলটির নেতাকর্মীরা যোগ দেন। এছাড়া মহানগরী ১২ থানা এবং ৩০টি ওয়ার্ড থেকে ব্যানার, ফেস্টুন ও দলীয় প্রতিক দাঁড়িপাল্লা হাতে পৃথক পৃথক মিছিল নিয়ে সম্মেলনে আসেন নেতাকর্মীরা। নগরীর সব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি জামায়াত-শিবিরের স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করছেন।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীতে জামায়াতে ইসলামীর সর্বশেষ জনসভা হয়। এরপর আর প্রকাশ্যে বড় কোনো প্রোগ্রাম হয়নি দলটির। শনিবার সকালে কর্মী সম্মেলনের পর দুপুর ২টা থেকে ৩টা নাইস কমিউনিটি সেন্টারে মহিলাদের নিয়ে পৃথক কর্মী সম্মেলন হবে। আর চিকিৎসক সমাবেশ হবে বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত। সবশেষ বাদ মাগরিব চেম্বার ভবনে ব্যবসায়ীদের নিয়ে সমাবেশ হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: