
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিরব ভূমিকার প্রতিবাদ জানান। স্লোগানগুলো ছিল— ‘হয় মোদের চাকসু দে, নইলে গদি ছাইড়া দে’, ‘ডাকসু হলো, রাকসু হলো, চাকসু কেন থেমে গেল’, ‘এক দুই তিন চার, চাকসু মোদের অধিকার’, ‘প্রহসনের প্রশাসন মানি না মানবো না’ ইত্যাদি।
আইন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন রিয়াদ বলেন, “জুলাইয়ে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা শহীদ হয়েছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও আমাদের দুজন ভাই প্রাণ দিয়েছেন। তাই সবার আগে এখানে চাকসু নির্বাচন হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। অথচ ডাকসু, রাকসু ও জাকসুর তফসিল ইতোমধ্যে ঘোষণা হয়েছে।”
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, “যখন অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে তফসিল ঘোষণা হচ্ছে, তখন চবির প্রশাসন নিশ্চুপ। আমরা এতদিন রোডম্যাপ চেয়েছিলাম, এখন আর নয়— সরাসরি তফসিল চাই।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন জানান, “১ আগস্ট সিন্ডিকেট সভা রয়েছে। সেখানে চাকসুর নীতিমালা চূড়ান্ত হলে নির্বাচন কমিশনার তফসিল ঘোষণা করবেন।”
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: