ডেস্ক রিপোর্ট: ভুল চিকিৎসায় রাজধানীর ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিতের মৃত্যুর ঘটনার বিচারের দাবিতে মোল্লা কলেজসহ ঢাকার ৩৫টি কলেজের শিক্ষার্থীরা একজোট হয়ে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছেন। দুপুর ১২টা থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় চলতে থাকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এতে সাংবাদিকসহ ৩০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
গত রোববার দুপুর ২টায় রাজধানীর বিভিন্ন কলেজ থেকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী অভিজিতের মৃত্যুর অভিযোগ এনে বিচারের দাবিতে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের সামনে এসে জড়ো হন। এরই মধ্যে হাসপাতালের গেট ও নেম প্লেট ভাঙচুর শুরু করেন কিছু শিক্ষার্থী। হাসপাতালের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে জানালার কাচ ও একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করা হয়।
কিছুক্ষণ পর শিক্ষার্থীরা একজোট হয়ে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের দিকে এগিয়ে যান। পথে পুলিশ বাধা দিলে সেটি উপেক্ষা করে সামনে এগিয়ে যান তারা। পরে সোহরাওয়ার্দী কলেজে পৌঁছে ১৭টি ডিপার্টমেন্ট, শিক্ষকদের কক্ষ, এক শিক্ষকের প্রাইভেটকার, চারটি মোটরসাইকেল, কলেজের নেম প্লেট ভাঙচুর করেন।
আজ সোমবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর ডেমরায় ড. মাহবুবুর মোল্লা কলেজের সামনে তিন কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। আহতরা সবাই কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে কয়েকজনের নামপরিচয় পাওয়া গিয়েছে।
তারা হলেন- নাইম (২০), সিয়াম (১৯), মোল্লা সোহাগ (১৮), রাজিম (১৭), শরিফুল (১৭), জাহিদ (২৫), মোস্তফা (২৩), রাতুল (২১), শফিকুল ইসলাম (২৬), মেহেদী হাসান (২৪), সজিব বেপারী (২৮), ফয়সাল (১৯), সাগর (২১), ইমন (২৪), সিয়াম (১৮)।
ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ড. মাহমুদ বলেন, এখন পর্যন্ত আহত হয়ে ৩০ জন এসেছেন। এর মধ্যে ১০ জনের অবস্থা গুরুতর। এদের মধ্যে কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: