জানা গেছে, গত ২৬ জুলাই রাজশাহীর বাসচালকদের সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জের চালক ও শ্রমিকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রাজশাহীর চালকরা চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক চালককে মারধর করেন। এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের চালকরা রাজশাহীর একটি বাস ভাঙচুর করেন। এর ফলে দুই জেলার মধ্যে বাস চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
ভোলাহাট উপজেলা থেকে রাজশাহী যাওয়ার পথে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিশ্বরোড মোড়ে অপেক্ষমাণ যাত্রী আলি হাসান বলেন, “বিকেলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার জন্য সকালে এসেছিলাম। এসে শুনি বাস বন্ধ। বাধ্য হয়ে ২০০ টাকা দিয়ে সিএনজিতে রাজশাহী যাচ্ছি, যেখানে বাস ভাড়া ১১০ টাকা ছিল।”
কলেজছাত্রী মারুফা জানান, “সকালে বিশ্বরোডে এসে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেছি। পরে জানতে পারি বাস বন্ধ। বাধ্য হয়ে শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে বালিয়াঘাটায় গিয়ে বাস ধরেছি। অথচ সিএনজিতে ভাড়া চাইছে ২৫০ টাকা।”
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, “গতকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। সোমবার রাজশাহীর পরিবহন সমিতির সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও অনিবার্য কারণে তা হয়নি। মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) বেলা ১১টায় মিটিং হবে। আশা করি দ্রুত সমাধানে পৌঁছানো যাবে।”
বাস চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা যেমন দুর্ভোগে পড়েছেন, তেমনি এই সুযোগে বাড়তি ভাড়া আদায়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বিকল্প যানবাহনের চালকরা। পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক না হলে এই ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন ভুক্তভোগীরা।

                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                            
                                            
                                            
                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: