চাঁপাইনবাবগঞ্জ | মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ info@mohanonda24.com +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের শাহিন (৩০) ক্যানসারে আক্রান্ত।

ক্যানসার চিকিৎসায় নিঃস্ব চাঁপাইনবাবগঞ্জের শাহিন, সহযোগিতার আবেদন

সি.ই/স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশিত: ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৯:১৪

সি.ই/স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৯:১৪

ক্যানসার চিকিৎসায় নিঃস্ব চাঁপাইনবাবগঞ্জের শাহিন ও তার পরিবার

বিশেষ প্রতিবেদন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের শাহিন (৩০) ক্যানসারে আক্রান্ত। তার চিকিৎসা চালাতে পরিবারটি এখন নিঃস্ব হয়ে গেছে। পরিবারের ৫ জন সদস্যের এক মাত্র উপার্জনকারী ছিলেন শাহিন। শাহিন ও তার পরিবারের দাবি সরকার-বিত্তবানরা এগিয়ে এলে আবারও স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করতে পারবে।

মুহাম্মদ শাহীন। তিন মাস আগেও স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করত। হঠৎই তার অণ্ডকোষে একটি ডিউমার ধরা পড়ে। ডিউমার থেকে ক্যানসারের সৃষ্টি হয়। এখন ক্যানসার চিকিৎসা করাতে নিঃস্ব পরিবারটি। পরিবারের ৫ জন সদস্যের এক মাত্র উপার্জনকারী ছিলেন শাহিন।


শাহীনের ক্যানসার আক্রান্তের আগেই থেকে বাবা অসুস্থ থাকলেও তার মা শাহীনের জন্য টাকা ব্যবস্থা করতে যাওয়া সময় রোড অ্যাকসিডেন্ট পা ভেঙ্গে পঙ্গ হয়ে পড়েন। শাহীনের স্ত্রী হাপানিসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। এখন পরিবারটি অসহায় ও মানবেতর জীবন যাপন করছেন। শাহীন একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুবাদে যে টাকা উপার্জন করছেন সে টাকা থেকে ক্যানসারের চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। সেটাও এখন শেষে হয়ে গেছে।

 

পরিবারের কিছু না থাকাই অন্যের সাহায্য সহযোগিতায় খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে ক্যানসারের চিকিৎসা। দুটি কেমো দিতে পারলেও বাকি কেমোগুলো টাকার অভাবে দিবে পারছেন না শাহীন। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে পরিবারের আবারও দায়িত্ব নিতে চান সে। শাহীন ও তার পরিবার দাবি, বর্তমান সরকার অনেক অসহায় ও অসুস্থ রোগীকে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছেন। সরকার ও বৃত্তবানরা এগিয়ে আসলে বাঁচতে পারবে শাহীন ও তার পরিবার।

ক্যানসার আক্রান্ত শাহীন বলেন, তিনি বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে। পুরো পরিবারের দায়িত্ব তার কাঁধের উপর।

শাহীন জানান, ৩ মাস আগে শাহিনের অণ্ডকোষে হঠাৎ একটি টিউমার ধরা পড়ে। চিকিৎসা নিতে যেয়ে শাহীন জানতে পারে এটি টিউমার থেকে ক্যানসারে সৃষ্টি হয়েছে। শাহীন ক্যানসারের চিকিৎসা করাতে গিয়ে শাহীন এখন নিঃস্ব।

শাহীন বলেন, আমার রোজকারে চলত পুরো পরিবার। শাহীন একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতাম।

শাহীন আরও বলেন, আমার একটি ছোট বাচ্চা আছে। বাবা-মা বেঁচে আছে। আমি আগের মতো আবারও সংসারের দায়িত্ব কাঁধে নিতে চাই। তাই আপনাদের প্রতি অনুরোধ সমাজের বিত্তবান, সমাজসেবী, সরকার, ও প্রবাসীদের প্রতি অনুরোধ রইলো আমার চিকিৎসার জন্য সাহায্য সহযোগিতা করার।

শাহীন আরও বলেন, আপনারা সহযোগিতা করলে বাকি কেমোগুলো দিতে পারব।

 

শাহীনের মা মাসেদা বেগম ঢাকা মেইলকে বলেন, ছেলের চিকিৎসার জন্য টাকা ব্যবস্থা করতে যাওয়া সময় রোড অ্যাকসিডেন্ট পা ভেঙ্গে পঙ্গু হয়েছি। এখন চোখ মুখে শুধুই অন্ধকার ছাড়া কিছুই দেখি না। আমার স্বামীও অনেক দিন থেকে অসুস্থ। একমাত্র উপার্জনকারী ছিল শাহিন। আপনাদের সবার প্রতি অনুরোধ, শাহিনের চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসুন। টাকার অভাবে শাহীনের কেমো দিতে পারছি না। আপনার সহযোগিতা করলে শাহিন আবারও সুস্থ হয়ে পরিবারের দায়িত্ব নিতে পারবে।

শাহীনের স্ত্রী রিমু খাতুন ঢাকা মেইলকে বলেন, সমাজের প্রতি অনুরোধ আমার ছোট বাচ্চাটার মুখের দিকে চেয়ে হলেও আপনারা আমার স্বামীর চিকিৎসার জন্য সাহায্য সহযোগিতা করুন। আপনারা সাহায্য সহযোগিতা করলে বাকি কেমোগুলো দিতে পারব। চিকিৎসা করাতে পারব।

এদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ইউপি সদস্য আলম আলী ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সাহায্য সহযোগিতার আশ্বাস দেন। সেই সঙ্গে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান করেন এই জনপ্রতিনিধি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: