চাঁপাইনবাবগঞ্জ | সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ info@mohanonda24.com +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩
মূলত আল-আকসা মসজিদের অপবিত্রতা এবং বসতি স্থাপনকারীদের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় বড় আকারের এ অভিযানে নেমেছে হামাস।

ইসরাইলে হামলা চালানোর কারন হামাসের

আ/স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশিত: ৯ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:৪১

আ/স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: ৯ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:৪১

সংগৃহিত ছবি

দখলদার ইসরাইল বাহিনী এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী হামাস যোদ্ধারা নতুন করে সংঘর্ষ শুরু করে। মূলত আল-আকসা মসজিদের অপবিত্রতা এবং বসতি স্থাপনকারীদের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় বড় আকারের এ অভিযানে নেমেছে হামাস।

শনিবার গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলের ওপর হামলা চালিয়েছে হামাসের যোদ্ধারা। আকাশ, সমুদ্র আর স্থলপথ সব দিক থেকেই হামলা চালিয়েছে তারা। হিযবুল্লাহ গেরিলারাও তাদেরকে সমর্থন জানিয়েছে। অবরুদ্ধ উপকূলীয় ছিটমহলে মারাত্মক বোমা হামলার মাধ্যমে জবাব দিয়েছে ইসরাইল। অনলাইনের এক বিবৃতিতে হামাস আরব ও ইসলামিক দেশগুলোকে যুদ্ধে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

হামাসের সামরিক কমান্ডার মোহাম্মাদ দেইফ বলেন, ‘এটি পৃথিবীর শেষ দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে সর্বশ্রেষ্ঠ যুদ্ধের দিন’। তিনি গত শনিবার একটি রেকর্ড বার্তায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণবিদ্রোহের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘দুনিয়ার বুকে সর্বশেষ দখলদারত্বের অবসানে সবচেয়ে বড় যুদ্ধের দিন আজ। তোমার কাছে বন্দুক থাকলে তা বের করো। এটি ব্যবহার করার এটাই শ্রেষ্ঠ সময়। ট্রাক, গাড়ি, কুড়াল নিয়ে বেরিয়ে পরো। আজ থেকে শুরু হচ্ছে সেরা এবং সম্মানজনক ইতিহাস। ‘মুক্ত আল-আকসা’ প্রাঙ্গণে জড় হও।’

 

হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি আলজাজিরাকে বলেছেন, দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো হামলার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গাজায়, ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরাইলি নৃশংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। এগুলোই হামাসের এই অভিযানের কারণ।’

 

২০২১ সাল থেকেই ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ শুরু করেছে হামাস। সে বছর ইসরাইল ও হামাসের ১১ দিনের যুদ্ধের পর এই অপারেশন শুরু করেছিল তারা। হামাস জানিয়েছে, শনিবারের হামলায় তারা ইসরাইলের ওপর পাঁচ হাজার রকেট নিক্ষেপ করেছে। এ বিষয়ে ইসরাইলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, দলটি (হামাস) স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথ থেকে আক্রমণ করেছে। প্রথম ধাপের আক্রমণ স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় রকেট নিক্ষেপের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল বলে জানান তিনি। ইসরাইলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজা উপত্যকায় হামাস গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘অপারেশন আয়রন সোর্ডস’ শুরু করেছে।

রকেটগুলো উত্তরে তেল আবিব পর্যন্ত নিক্ষেপ করেছে হামাস বাহিনী। এছাড়া দক্ষিণ ইসরাইলেও যোদ্ধা পাঠিয়েছে তারা। ইসরাইলের গণমাধ্যম জানিয়েছে, বন্দুকধারীরা ইসরাইলের স্টেরড শহরে পথচারীদের ওপর গুলি চালিয়েছে। হামাস যোদ্ধারা একাধিক ইসরাইলি বেসামরিক জনসংখ্যা কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলেও জানা গেছে। টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, বর্তমানে দেশটির কাফার আজা, সেরত, সুফিয়া, নাহাল অয, মাগেন, বি’ইরি শহর ও রি’ইম সামরিক ঘাঁটির আশপাশে দুই দলের বন্দুকযুদ্ধ হচ্ছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: