চাঁপাইনবাবগঞ্জ | বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ info@mohanonda24.com +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩
তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পের দুই সপ্তাহ পর আবার নতুন করে দুটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

তুরস্কে আবার একই সাথে দুটি ভূমিকম্প

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২৩:৪০

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২৩:৪০

তুরস্কে সোমবারের ভূমিকম্পে ভীত স্থানীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পের দুই সপ্তাহ পর আবার নতুন করে দুটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে এখনো পর্যন্ত তিন জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধার করতে আবারও তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন উদ্ধারকর্মীরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সময় সোমবার রাত ৮টা ৪ মিনিটে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের হাতায় প্রদেশে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। দেশটির দক্ষিণ-পূর্বে সিরিয়ার সাথে সীমান্তবর্তী এলাকায় ৬.৪ এবং ৫.৮ মাত্রার এই ভূমিকম্প দুটি অনুভূত হয়। একই ভূমিকম্প মিশর এবং লেবাননেও অনুভূত হয়েছে।

তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরী অবস্থা বিষয়ক সংস্থা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত আটটা চার মিনিটে ৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর তিন মিনিট পর  ৫.৮ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প সেখানে আঘাত হানে।

তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সইলু বলেন, আন্তাকিয়া, দেফনে এবং সামানবাগে তিন জন মারা গেছে। তিনি ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনায় প্রবেশ না করতে জনগণকে আহ্বান জানিয়েছেন। মি. সইলু বলেছেন, এ পর্যন্ত ২১৩ জন মানুষ আহত হয়েছে। ভূমিকম্পের পর সিরিয়ায় প্রায় ৪৭০ জন মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

দেশটির স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে, আন্তাকিয়া শহরের রাস্তায় রাস্তায় ভীতি এবং উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে উদ্ধারকর্মীরা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন, যেখানে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর দেয়াল ধসে পড়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে সেখানকার স্থানীয় একজন বাসিন্দা মুনা আল-ওমর বলেন, 'আমার মনে হচ্ছিল পৃথিবী আমার পায়ের নিচে ফেটে চৌচির হয়ে যাবে।' নিজের সাত বছর বয়সী ছেলেকে ধরে কাঁদছিলেন তিনি। নতুন ভূমিকম্পটি আঘাত হানার সময় তিনি সিটি সেন্টারে একটি পার্কের ভেতরে তাবুতে অবস্থান করছিলেন।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে ১৮ বছর বয়সী আলি মাজলুম বলেছেন, নতুন ভূমিকম্পটি যখন হয় তখনও তিনি আগের ভূমিকম্পে মারা যাওয়া পরিবারের সদস্যদের মরদেহ খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন, তখনি আবার ভূমিকম্প হয়। তিনি বলেন, 'আমরা বুঝতে পারছিলাম না কী করবো, আমরা একে অন্যের হাত ধরে বসে ছিলাম আর চোখের সামনে দেয়াল ধসে পড়তে শুরু করে।'

এর আগে গত ৬ই ফেব্রুয়ারি তুরস্ক এবং সিরিয়া দুটি দেশেই ভয়ংকর ভূমিকম্প সব কিছু তছনছ করে দিয়েছিলো। ওই ভূমিকম্পে প্রায় ৪৪ হাজার মানুষের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এছাড়া ঘরবাড়ি ছাড়া হয় আরও লাখো মানুষ। ওই ভূমিকম্পে দুই দেশে যেসব ভবন দুর্বল হয়ে পড়েছিল সেগুলো সোমবারের ভূমিকম্পের ধসে পড়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: