চাঁপাইনবাবগঞ্জ | বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ info@mohanonda24.com +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩
তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ভূমিকম্প, ফের প্রাণহানি।

আবারও ভূমিকম্প

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশিত: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:৫২

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:৫২

ইন্দোনেশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ভূমিকম্প, ফের প্রাণহানি। এবার মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায়। এতে সেখানে অন্তত চারজন মারা গেছেন বলে জানা গেছে।

 

ইন্দোনেশিয়ার ভূপ্রকৃতিবিদ্যা সংস্থা (বিএমকেজি) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টা ২৮ মিনিটে দেশটির পাপুয়া উপকূলে আঘাত হেনেছে ৫ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প। এর উৎপত্তিস্থল ছিল জয়াপুরা শহর থেকে এক কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং কেন্দ্র ছিল ১০ কিলোমিটার গভীরে।

 

ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় ভূকম্পন কেন্দ্র (ইএমএসসি) অবশ্য প্রথমে ইন্দোনেশিয়ায় আঘাত হানা ভূমিকম্পটির মাত্রা ৫ দশমিক ৩ জানিয়েছিল। পরে তা সংশোধন করে ৫ দশমিক ১ বলেছে।

 

জয়াপুরার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার প্রধান আসাপ খালিদ একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে একটি ক্যাফে ধসে পড়লে চারজন প্রাণ হারান। ক্যাফেটি ধসে সাগরের পানিতে পড়েছিল।

 

জয়াপুরার বাসিন্দারা বলেছেন, ভূমিকম্প হলে সঙ্গে সঙ্গে লোকজন বাড়িঘর-দোকানপাট থেকে দৌড়ে বেরিয়ে আসে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলোতে ওই অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি ভবন দেখা গেছে। এর একটি উপকূলের পানিতে ডুবে ছিল।

 

পুত্রি কুরিতা নামে ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আমি অন্য একটি রেস্তোঁরায় দুপুরের খাবার খাচ্ছিলাম। হঠাৎ সব নড়ে ওঠে। ঝাঁকুনি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠলে আমি দৌড়ে বেরিয়ে আসি। ভেবেছিলাম, এই ভবনটিও ভেঙে পড়বে।

 

ভূমিকম্পটির পরে একাধিক আফটারশক আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে বলে সতর্ক করেছে ইন্দোনেশীয় কর্তৃপক্ষ।

 

বিএমকেজি’র তথ্যমতে, বৃহস্পতিবারের ঘটনাসহ ওই অঞ্চলে চলতি বছরে এ পর্যন্ত এক হাজারের বেশিবার ভূমিকম্প হয়েছে।

সংস্থাটির প্রধান দ্বিকোরিতা কর্নাবতী বলেছেন, ২০২৩ সালের ২ জানুয়ারি থেকে জয়াপুরার আশপাশে অন্তত ১ হাজার ৭৯টি ভূমিকম্প হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১৩২টির কম্পন অনুভব করেছেন বাসিন্দারা।

 

দ্বিকোরিতার হিসাবমতে, গত ৩৯ দিনে দৈনিক গড়ে ২৭বারের বেশি ভূমিকম্প হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার অঞ্চলটিতে। অর্থাৎ এক ঘণ্টারও কম সময় পরপর কেঁপেছে এলাকাটি।

 

তথাকথিত ‘প্যাসিফিক রিং অব ফায়ার’র ওপর অবস্থিত হওয়ায় ইন্দোনেশিয়া খুবই ভূমিকম্পনপ্রবণ। গত ১০ জানুয়ারি দেশটির তানিম্বার দ্বীপে আঘাত হেনেছিল ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প।

 

এছাড়া, গত বছরের ২১ নভেম্বর ইন্দোনেশিয়ার সিয়ানজুরে আঘাত হানে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূকম্পন। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আঘাত হানায় এতে প্রাণ হারান অন্তত ২৭১ জন। আহত হন দুই হাজারেরও বেশি মানুষ।

 

২০১৮ সালের পর থেকে ইন্দোনেশিয়ায় এটিই ছিল সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্প। ওই বছর পালু শহরে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার প্রলয়ংকরী এক ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল, যার জেরে সুনামি ও ভয়াবহ ভূমিধস দেখা দেয়। সেদিন প্রাণ হারান চার হাজারের বেশি মানুষ।

 

২০০৯ সালে ইন্দোনেশিয়ার পাডাং এলাকায় ৭ দশমিক ৬ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ১ হাজার ১০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: