চাঁপাইনবাবগঞ্জ | সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ info@mohanonda24.com +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩
“ম্যাচে বিভিন্ন আবহ তৈরি হয়েছে। একটা সময় মনে হচ্ছিল সাড়ে তিনশর বেশি রান হবে কিন্তু আমরা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট তুলে নিয়েছি।”

অস্ট্রেলিয়ার অসহায় আত্মসমর্পণ

আ/স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২৩ ২২:৩৬

আ/স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২৩ ২২:৩৬

সংগৃহিত ছবি

ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং- কোনো বিভাগেই নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারল না প্রভাবশালী অস্ট্রেলিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে প্যাট কামিন্সের দল এক প্রকার অসহায় আত্মসমর্পণ করেছেই বলা যায়। দারুণ মিলিত প্রচেষ্টায় রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে প্রটিয়ারা।

বিশ্বকাপ আসরের দশম ম্যাচে লক্ষ্ণৌতে বৃহস্পতিবার ১৩৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। এবারের আসরে এ নিয়ে দুই ম্যাচের দুটিতেই হারল অজিরা। অন্যদিকে দুই ম্যাচেই বড় জয় তুলে নিয়ে বিশেষ বার্তা দিয়ে রাখল দক্ষিণ আফ্রিকা।

অজি ফিল্ডারদের ক্যাচ মিসের মহড়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩১১ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। যদিও একসময় তারা সাড়ে তিনশোর্ধো সংগ্রহের আভাস দিচ্ছিল। জবাবে কোনো সময়ই সঠিক পথে ছিল না অস্ট্রেলিয়া। ২৭ রানের উদ্বোধনী জুটির পর ৭০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে তারা ছিটকে যায়। শেষ পর্যন্ত তারা ৪০.৫ ওভারে গুটিয়ে যাওয়ার আগে করতে পারে ১৭৭ রান।

সপ্তম উইকেটে মার্নাস লাবুশেন-মিচেল স্টার্কের ৬৯ রানের জুটি হারের ব্যবধান কমায় মাত্র, ম্যাচে তা কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি।

টানা দ্বিতীয় ও ক্যারিয়ারের ১৯তম শতক তুলে নিয়ে ম্যাচের নায়ক কুইন্টন ডি কক। এই ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ১০৬ বলে ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় ১০৯ রান। গত ম্যাচে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড করা মার্করাম করেন ৪৪ বলে ৫৬।

একটি-দুটি নয়, ছয় ছয়টি ক্যাচ হাতছাড়া করে টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেওয়া অস্ট্রেলিয়া। এক বাভুমাই ৫৫ বলে ৩৫ রানের ইনিংসের পথে জীবন পান তিনবার। তবে ডি ককের মারমুখী ব্যাটিংয়ের কালেন ১১৮ বেল ১০৮ রানের শুরুর জুটি পেয়ে যায় দল।

পরে রসি ভন ডার ডুসেন (৩০ বলে ২৬), হানরিক ক্লাসেন (২৭ বলে ২৯), মার্কো জনসেন (২২ বলে ২৬) ডেভিড মিলারের (১৩ বলে ১৭) কেউই শক্ত ভীতের উপর দাঁড়িয়েও প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে পারেননি। তবে মিলিত প্রচেষ্টায় চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহই পায় তারা।

১০ ওভারে স্রেফ ৩৪ রানে ২ উইকেট নিয়ে ইনিংসের সফলতম বোলার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৯ ওভারে ৫৩ রানে দুটি নেন মিচেল স্টার্ক। সাতজন বোলার ব্যবহার করেন অজি অধিনায়ক।

জাম্পার বলে বড় শট খেলতে গিয়ে লং অনে ধরা পড়েন ডুসেন। এই জুটি থেকে আসে ৫৩ বলে ৫০ রান। মার্করামের সাথে ৩৮ বলে ৩৯ রানের জুটি গড়ে ম্যাক্সওয়েলের বলে বোল্ড হলে শেষ হয় ডি ককের ইনিংস।

চতুর্থ উইকেটে ক্লাসেন-মার্করাম জুটি থেকে আসে ৫০ বলে ৬৬ রান। প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে পারেননি মিলার-জানসেনও। এই জুটি থেকে আসে ৩০ বলে ৪৩।

গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট হারানোয় প্রায় ৩০-৪০ রান কম হয়েছে দক্ষিন আফ্রিকার। ম্যাচ শেষে ব্যাটারটা স্বীকার করেন ম্যাক্সওয়েলও।

“ম্যাচে বিভিন্ন আবহ তৈরি হয়েছে। একটা সময় মনে হচ্ছিল সাড়ে তিনশর বেশি রান হবে কিন্তু আমরা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট তুলে নিয়েছি।”

ইনিংসের শেষ ওভার উইকেট মেডেন নেন স্টার্ক। জনসেনকে মিড অনে ক্যাচ বানানোর দুই বল পর দারুণ ইয়োর্কারে মিলারকে বোল্ড করে দেন এই বাঁ-হাতি পেসার।

নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪২৮ রানের পাহাড় গড়ে বড় ব্যবধানে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়া নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে হেরেছিল ৬ উইকেট।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: