চাঁপাইনবাবগঞ্জ | বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ info@mohanonda24.com +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩
বর্তমান জেনারেশনে আমরা বেশিরভাগ সময় টিভি, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ ছাড়া বিভিন্ন প্রজেক্টরের দিকে তাকিয়ে কাজ করি।

দীর্ঘ সময় স্ক্রিনের দিকে তাকালে কি হয়?

হ.আ/রিপোর্টার | প্রকাশিত: ৬ মার্চ ২০২৩ ০৫:১৩

হ.আ/রিপোর্টার
প্রকাশিত: ৬ মার্চ ২০২৩ ০৫:১৩

প্রতিকী ছবি

বর্তমান জেনারেশনে আমরা বেশিরভাগ সময় টিভি, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ ছাড়া বিভিন্ন প্রজেক্টরের দিকে তাকিয়ে কাজ করি। কম্পিউটার মনিটর কিংবা স্মার্টফোনের দিকে  দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে থাকলে আমাদের  অনেকেরই চোখ জ্বালাপোড়া করে। চোখ লাল হয়ে যায়। আপনারও যদি একই সমস্যা হয় তবে দ্রুত চক্ষু চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। কেননা, এই লক্ষণ দেখা দেয় ড্রাই আইস রোগের কারণে। 

বর্তমানে সম্প্রতি নাগরিকরা ড্রাই আইস সমস্যায় বেশি ভূগছেন। বিশেষ করে যারা তীব্র আলোয় কাজ করেন কিংবা অন্ধকারে মোবাইল ফোন দেখলে বা কম্পিউটার ব্যবহার করলে । সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে এই সমস্যা আরও বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে পূর্বাভাস চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞদের।

আমরা কিভাবে বুঝব আমাদের চোখের সমস্যা হচ্ছে?
আমাদের চোখে কচকচানি/জ্বালাপোড়া ভাব, চোখের আশপাশে আঁঠালো পিঁচুটি, ঊজ্জ্বল আলোয় অসুবিধা, চোখের লালচে ভাব, কটকটে ভাব, কনট্যাক্ট লেন্স পরায় অসুবিধা, রাতে ড্রাইভিংয়ে অসুবিধা, ঝাপসা দৃষ্টি হলে বুঝতে হবে আমার চোখে  সমস্যা হচ্ছে।

ড্রই আইস কী?
চোখের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত জরুরি লুব্রিক্যান্ট। কিন্তু যখন অশ্রুগ্রন্থি পর্যাপ্ত সেই 'লুব্রিকেশন' দিতে পারে না বা কোনও কারণে চোখের সেই লুব্রিকেশনের পরিমাণ যথেষ্ট হয় না, তখনই 'ড্রাই আইস' র মতো সমস্যা দেখা যায়। 

এ রোগের কারণ কী?
ড্রাই আইসের নেপথ্যে বেশ কিছু শারীরবৃত্তীয় বা ফিজিওলকিজ্যাল কারণ থাকে। এক, কিছু ক্ষেত্রে চোখের পানিই কম তৈরি হয়। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে, চোখে পানি তৈরি হলেও তা শুকিয়ে যায়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা এই দুইটি কারণের সম্মিলিত ফল থাকে।

ড্রাই আইসের ক্ষেত্রে বড় সমস্যা হতে পারে স্ক্রিন টাইম। অর্থাৎ অনেকক্ষণ ধরে কোনও একটি স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের পাতা ফেলার হার অনেকটা কমে যায়। সেটি  কিন্তু চোখের পানি উবে যাওয়ার অন্যতম বড় কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তা ছাড়াও পরিবেশগত কারণও একটি ফ্যাক্টর।' স্মোকিং, মেনোপজের পর হরমোনের মাত্রায় তারতম্য, এবং যেকোনো ধরনের অটোইমিউন ডিজিজিও ড্রাই আইস তৈরি করতে পারে। ডায়াবিটিস, থাইরয়েস-সংক্রান্ত সমস্যাও এর মধ্যে পড়ে।


এই রোগের কি কোন চিকিৎসা আছে?
এই অসুস্থতা পুরোপুরি সারার না হলেও অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে আনা যেতে পারে। তবে কী ভাবে চিকিৎসা পদ্ধতি এগোবে, সেটি রোগী এবং ডাক্তার মিলে সিদ্ধান্ত নেন।

কম্পিউটারে দীর্ঘক্ষণ কাজ করার প্রয়োজন হলে ২০ মিনিট অন্তর বিরতি নিন। মাঝে মাঝে চোখে পানির ঝাপটা দিন। 

বিনোদনমূলক জিনিসপত্র যত কম দেখা যায়, দূর থেকে স্ক্রিন দেখা, কম্পিউটার ব্যবহারের সময় অ্যান্টি-গ্লেয়ার ব্যবহার করা উচিত। 

এছাড়াও নির্দিষ্ট টিয়ার ড্রপ ব্যবহারেরও পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। এসব পরামর্শ ও চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ থাকুন। 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: