চাঁপাইনবাবগঞ্জ | সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ info@mohanonda24.com +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩
হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) নিজে এই রোজা রাখতেন এবং সাহাবিদের রাখার নির্দেশ দিতেন।

শাওয়াল মাসের ছয় রোজার ফজিলত

আ/ স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০২৩ ০১:৩০

আ/ স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০২৩ ০১:৩০

সংগৃহিত ছবি

মানুষের প্রতি আল্লাহ তায়ালার দয়া ও ভালোবাসার অন্যতম নিদর্শন হলো- অল্প আমলের বিনিময়ে অনেক সওয়াব দেওয়া। এসব আমলের একটি হলো- শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা।

রোজাদারের ব্যক্তিগত অপূর্ণতা এবং মানবীয় দুর্বলতায় রমজানের রোজা পালনে নানা ত্রুটি-বিচ্যুতির অবকাশ থাকে। মানুষের সেই ভুলগুলো অপূর্ণতাকে পরিপূর্ণ করতে শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজাকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। শাওয়ালের এ ছয় রোজা মুসলিম উম্মাহর জীবনে এক তাৎপর্যময় আমল হিসেবে পরিগণিত। এর মাধ্যমে রমজানের রোজা আদায়ের সুযোগের শুকরিয়াও আদায় করা হয়। হাদিসে আছে, যখন কোনো বান্দার আমল আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন, তখন তাকে অন্য আরও নেক আমলের তওফিক দেন। এই রোজাগুলো রাখতে পারা রমজানের রোজা কবুল হওয়ার নিদর্শন।

হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) নিজে এই রোজা রাখতেন এবং সাহাবিদের রাখার নির্দেশ দিতেন। হজরত আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখল, অতঃপর শাওয়ালের ছয়টি রোজা রাখল, সে যেন সারা বছরই রোজা রাখল।’ সহিহ মুসলিম: ২/৮২২ রমজানের ৩০টি রোজার সঙ্গে শাওয়ালের ছয়টি রোজা যুক্ত হলে মোট রোজার সংখ্যা হয় ৩৬টি। আর প্রতিটি পুণ্যের জন্য ১০ গুণ পুরস্কারের কথা উল্লেখ রয়েছে পবিত্র কুরআনে। তাহলে ৩৬টি রোজার ১০ গুণ হলে ৩৬০টি রোজার সমান (এটি পুরস্কারের দিক থেকে)।

অর্থাৎ সারা বছর রোজার সমান সওয়াব হবে। হজরত সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘রমজানের রোজা ১০ মাসের রোজার সমতুল্য আর (শাওয়ালের) ছয় রোজা দুই মাসের রোজার সমান। সুতরাং এই হলো এক বছরের রোজা।’ -নাসায়ি: ২/১৬২

সুরা আনআমের ১৬০ নম্বর আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি একটি সৎকাজ করল, সে ১০ গুণ সওয়াব পাবে।’ এ হিসেবে যে ব্যক্তি রমজানের এক মাস রোজা রাখল, সে ১০ মাস রোজা রাখার সওয়াব পাবে। আর ছয়টি রোজার ১০ গুণ ৬০ দিন। অর্থাৎ দুই মাস। আর এই দুই মাস মিলে ১২ মাস রোজার সওয়াব।

শাওয়ালের ছয়টি রোজা নারী-পুরুষ সবার জন্য সুন্নত। মাসের শুরু-শেষ কিংবা মাঝামাঝি সব সময়ই রাখা যায় এই রোজা। একাধারে অথবা পৃথক পৃথকভাবেও রাখা যায়। কিন্তু মাসটি হতে হবে শাওয়াল মাস।

তবে ঈদুল ফিতরের পর শাওয়ালের প্রথম দিকে একসঙ্গে ছয়টি রোজা রাখা উত্তম। কারও যদি রমজানের রোজা কাজা থাকে তবে সেই কাজা আগে পালন করা। অনেকে ভুল করে শাওয়াল মাসে রমজানের কাজা রোজা রাখে এবং এর সাথে শাওয়ালের ছয় রোজার নিয়তও করে। এটা ঠিক না।

কাজা রোজার সঙ্গে শাওয়ালের রোজার নিয়ত করলে তা কাজা হিসেবেই গণ্য হবে। এতে শাওয়ালের ছয় রোজা আদায় হবে না, কাঙ্ক্ষিত ফজিলত ও সওয়াব মিলবে না। শাওয়ালের ছয় রোজা পৃথকভাবে রাখতে হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: