চাঁপাইনবাবগঞ্জ | সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ info@mohanonda24.com +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩
পবিত্র কুরআনের ঘোষণায় ঘোষনায় নবিজি (সাঃ) ছিলেন, একজন সৎ ও উত্তম চরিত্রের অধিকারী। মহান আল্লাহ পবিত্র কালামে বলেছেন, ‘নিশ্চয় আপনি উত্তম চরিত্রের অধিকারী।’ তিনি ছিলেন বিশ্ববাসীর জন্য অনুসরনীয় ও অনুকরণীয় আদর্শ। অপর একটি আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আবশ্যই রাস

নবিজির (সা.) বিশেষ কিছু অনুসরণীয় গুণ

আ.মা/ স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারী ২০২৩ ০৩:১৭

আ.মা/ স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারী ২০২৩ ০৩:১৭

মুহাম্মদ (স.)
পবিত্র কুরআনের ঘোষণায় ঘোষনায়  নবিজি (সাঃ)  ছিলেন, একজন সৎ ও উত্তম চরিত্রের অধিকারী। মহান আল্লাহ পবিত্র কালামে বলেছেন, ‘নিশ্চয় আপনি উত্তম চরিত্রের অধিকারী।’ তিনি ছিলেন বিশ্ববাসীর জন্য অনুসরনীয় ও অনুকরণীয় আদর্শ। অপর একটি আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আবশ্যই রাসুলুল্লাহ (সাঃ) জীবনে রয়েছে তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ। নবিজি (সাঃ) এর  অনুসরণীয় গুণগুলো কী? 
 
উত্তম গুণাবলী অর্জনের জন্য বিশ্বনবি (সাঃ) চারিত্রিক গুণাবলীগুলো অনুকরণ ও অনুসরণ একান্ত আবশ্যক। মানুষ যখন বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চারিত্রিক গুণাবলী নিজেদের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে, তখনই মানুষ ইহ ও পরকালে সফলকাম হবে। দুনিয়াতেই রচিত হবে যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ সমাজ।
 
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিশ্বনবি (সাঃ) এর সব গুণাগুলোই অনুসরণ ও অনুকরণ করা আবশ্যক। কেননা তিনি উম্মতের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘আমি উত্তম চারিত্রিক গুণাবলীর অধিকারী হয়েই প্রেরিত হয়েছি।’ 
 
বিশ্বনবির সব গুণগুলোর মধ্যে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বিশ্বনবির এ গুণগুলো অনুসরণ করা একান্ত জরুরি। বিশ্বনবির কিছু চারিত্রিক গুণাবলী তুলে ধরা হলোঃ - 
১. কোনো মজলিশে কেউ কথা বলতে বসলে সে ব্যক্তি উঠা না পর্যন্ত বিশ্বনবী উঠতেন না। 
২. সব সময় আল্লাহ তাআলার ভয়ে ভীত থাকতেন।
৩. বেশিরভাগ সময় তিনি নিরব থাকতেন।
৪. বিনা প্রয়োজনে তিনি কথা বলতেন না।
৫. কথা বলার সময় তিনি সুস্পষ্টভাবে কথা বলতেন; যাতে শ্রবনকারী সহজেই তাঁর কথা বুঝে নিতে পারে।
৬. বিশ্বনবি আলোচনা করার সময় তা দীর্ঘস্থায়ী করতেন না; যাতে শ্রোতারা বিরক্ত হয়ে যায় আবার এত সংক্ষিপ্ত করতেন না; যাতে কথা অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
৭. কথা, কাজ ও লেন-দেনে কঠোরতা অবলম্বন করতেন না।
৮. বিনয় ও নম্রতাকে তিনি অত্যন্ত পছন্দ করতেন।
৯. বিশ্বনবির দরবারে আগত কোনো ব্যক্তিকেই তিনি অবহেলা করতেন না।
১০. কারো সাথে কথা-বার্তায় অযথা তর্ক সৃষ্টি করতেন না।
১১. ইসলামি শরিয়ত পরিপন্থী কোনো কথা হলে তা থেকে বিরত রাখতেন বা সেখান থেকে উঠে যেতেন।
১২. আল্লাহ তাআলার প্রতিটি নিয়ামতকে তিনি সম্মান করতেন।১৩. কোনো খাদ্য দ্রব্যের দোষ ধরতেন না। মন চাইলে খেতেন; অন্যথায় খাওয়া থেকে বিরত থাকতেন।
১৪. ক্ষমা করাকে পছন্দ করতেন।
১৫. যে কোনো প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিতেন; যাতে প্রশ্নকারী ব্যক্তি প্রশ্ন সম্পর্কে পরিপূর্ণভাবে অবগত হতে পারে।
১৬. সব সময় তিনি ধৈর্য্ন ধারণ করতে ভালোবাসতেন। ধৈর্য্স ছিল বিশ্বনবির অন্যতম গুণ।
১৭. বিশ্বনবির কাছে হাদিয়াসহ যা কিছুই আসতো; তিনি তা আল্লাহর রাস্তায় দান করে দিতেন।
১৮. তিনি এতটাই সাদাসিধে জীবন-যাপন করেছেন যে, লৌকিকতার প্রয়োজনেও তিনি ছোট প্লেটে খাবার খেতেন না।
 
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দুনিয়ার পুরো জিন্দেগিই ছিলো গুণাবলীতে ভরপুর। তাঁর সব গুণাবলী লিখে শেষ করা যাবে না। কোনো মানুষ যদি বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উল্লেখিত গুণাগুলো নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করেন। তিনি হবেন পৃথিবীর সেরা মানুষ।
 
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চারিত্রিক গুণের অধিকারী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: