
শুধু সমস্যা চিহ্নিত করেই থেমে থাকেনি সংগঠনটি; বরং তারা প্রতিটি সমস্যার জন্য সম্ভাব্য সমাধানও উপস্থাপন করেছে। প্রস্তাবিত সংস্কারের মধ্যে রয়েছে রিডিং রুমে এসির ব্যবস্থা, নিষ্ক্রিয় লাইব্রেরি ও ডিবেট ক্লাব পুনরায় চালু, সাইকেল গ্যারেজ নির্মাণ, মসজিদে এসি স্থাপন, গেস্ট রুম ও গেমস রুম সংস্কার, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করা, গণরুমে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের জরুরি ভিত্তিতে সিট বরাদ্দ, খাবারের মান উন্নয়ন ও ক্যান্টিন তদারকিসহ হলের সার্বিক সৌন্দর্যবর্ধন।
শিবিরের দাবি, ২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলনের পর শিক্ষার্থীরা আশাবাদী ছিল যে, হল প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। তাদের ১৬ দফা প্রস্তাব সেই প্রত্যাশারই ধারাবাহিক প্রকাশ। এ বিষয়ে জিয়া হল শিবির শাখার সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, “শুধু কোলাহল নয়, এখন শিক্ষার্থীদের কণ্ঠে বাস্তবসম্মত পরিবর্তনের দাবি উঠেছে। যেখানে বিশ্বজুড়ে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন ব্যবস্থায় কেন এখনো পুরনো ধ্যান-ধারণা থাকবে? অবিলম্বে হলের সব ক্ষেত্রে আধুনিকায়ন করতে হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শিবির নেতারা বলেন, জিয়া হলকে একটি আধুনিক, নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব আবাসনে রূপ দিতে হলে এই প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন অত্যাবশ্যক।
দাবির বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক মাহবুবার রহমান বলেন, “এই দাবিগুলো খুবই যৌক্তিক। আমি এগুলো বাস্তবায়নে যথেষ্ট আগ্রহী। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ না পেলেও, আমি হলের নিজস্ব তহবিল থেকে যতটা সম্ভব এগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।”
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: