
বিক্ষোভকারীরা ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিমালা ও প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টার প্রতিবাদ জানান। এ সময় তারা ধনীদের প্রভাব, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার হরণ ও অভিবাসন নীতির কড়া সমালোচনা করেন।
বিক্ষোভের মূল আয়োজক ছিল ‘৫০৫০১’ নামের একটি বামপন্থি সংগঠন, যার ব্যাখ্যা ‘৫০ অঙ্গরাজ্যে ৫০টি বিক্ষোভ এবং একটি ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন’। সংগঠনটি জানায়, মে দিবস উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের এক হাজারেরও বেশি স্থানে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে অংশ নিয়ে ৫৪ বছর বয়সী শেন রিডল বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, “অতি ধনীরা দেশকে দখল করে নিচ্ছে। শ্রমজীবী ও মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে দমন করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ও তার ধনকুবের মিত্রদের বিরুদ্ধে আমাদের দাঁড়াতেই হবে, নইলে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রে পরিণত হবে।”
ভার্জিনিয়ার একটি শিক্ষা ইউনিয়নের কর্মী রিডলের মতোই হিউস্টনের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বার্নার্ড স্যাম্পসন বলেন, “এই অভিবাসীরাই তোমার রেস্তোরাঁয় কাজ করে, তোমার ঘরবাড়ি বানায়। অথচ ট্রাম্প প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক নীতি গ্রহণ করছে।”
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনের পাশাপাশি লস অ্যাঞ্জেলেসে কয়েক হাজার মানুষ রাস্তায় নামেন। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত—ফ্রান্স থেকে ফিলিপাইন পর্যন্ত আয়োজিত মে দিবসের র্যালিগুলোতেও ট্রাম্পবিরোধী বার্তা প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন বিতর্কিত বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দুই লাখের বেশি কর্মী ছাঁটাই, অভিবাসীদের আটক, জলবায়ু উদ্যোগে অর্থায়ন বন্ধের হুমকি এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ দমনচেষ্টা। এসব নীতির কঠোর সমালোচনা করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
সূত্র: এএফপি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: