05/05/2025 সদর হাসপাতালের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ৮ দফা দাবি, চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংবাদ সম্মেলন
স্টাফ রিপোর্টার
৪ মে ২০২৫ ২২:৪৬
সংগঠনের নেতারা জানান, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরেই সেবার মান শোচনীয়। তারা বলেন, গত ৩০ এপ্রিল হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক ও আরএমওর সঙ্গে আলোচনার সময় অভিযোগ অস্বীকার করা হলেও পরবর্তীতে প্রমাণ দেখানোর পর কর্তৃপক্ষ তা স্বীকার করতে বাধ্য হন। আলোচনা চলাকালীন ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন তারা।
উত্থাপিত ৮ দফা দাবি:
১. চিকিৎসকদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করে ব্যক্তিগত ক্লিনিকে যাওয়ার সুযোগ বন্ধ করা
২. পরীক্ষার (আলট্রাসনোগ্রাম, এক্স-রে) সময়সূচি প্রকাশ ও বাস্তবায়ন
৩. অপ্রয়োজনীয় রেফার ও প্রাইভেট ক্লিনিকে পরীক্ষার জন্য চাপ বন্ধ
৪. রাউন্ড ও ওয়ার্ড ভিজিট বাধ্যতামূলক করা
৫. ঔষধ দালাল চক্র দমন
৬. শিশু ওয়ার্ডে প্রশিক্ষিত নার্স নিয়োগ
৭. দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত
৮. গাইনি ওয়ার্ডে জোরপূর্বক বকশিশ (১,৫০০-২,০০০ টাকা) নেওয়া বন্ধ করা
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা প্রশ্ন তোলেন: “৩৬ জুলাইয়ের এক বছর পূর্তির মাত্র ৯৩ দিন আগেও চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসী কেন প্রাথমিক চিকিৎসার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন?” তারা ঘোষণা দেন, “আমরা শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব।”
শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ঘোষণা
আন্দোলনকারীরা সদর হাসপাতালের "সিন্ডিকেট" ভেঙে দুর্নীতি বন্ধের আহ্বান জানান এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলন আরও জোরদার করার ঘোষণা দেন।
উপস্থিত নেতৃবৃন্দ:
আহ্বায়ক আব্দুর রাহিম, সদস্য সচিব সাব্বির আহমেদ, মুখ্য সংগঠক মুত্তাসিম বিশ্বাস, যুগ্ম আহ্বায়ক আকিব মিয়া ও মাহিন খান, যুগ্ম সদস্য সচিব আহমেদ ইমতিয়াজ পারভেজ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আকিব মিয়া বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ ভিত্তিহীন। কেউ প্রমাণসহ অভিযোগ করলে আমরা তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।”