বরিবার (৪ মে) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্য মূল্য থেকে মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন। এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন সমাজের হতদরিদ্ররা, যারা চামড়া বিক্রির টাকায় কিছুটা স্বস্তি পেতেন। এই অনিয়মের অবসান হওয়া জরুরি।”

তিনি অভিযোগ করেন, পশুর চামড়ার বাজারে একটি ‘সিন্ডিকেট’ সক্রিয় রয়েছে, যা দাম নিয়ন্ত্রণে প্রভাব ফেলে। “আমরা চেষ্টা করব যেন কেউ সিন্ডিকেট বা অব্যবস্থাপনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,” বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

এ সময় পশু পরিবহণ ও হাটে বিক্রির সময় পশুর সঙ্গে অমানবিক আচরণ না করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। পাশাপাশি, চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণে পরিবেশবান্ধব ইটিপি ব্যবহারের বিষয়ে যথাযথ নজরদারির নির্দেশ দেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিনের নেতৃত্বে যে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাতে আরও অন্তর্ভুক্ত থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার স্বরাষ্ট্র বিষয়ক বিশেষ সহকারী মোঃ খোদা বখস চৌধুরী, বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, শিল্প সচিব মোঃ ওবায়দুর রহমান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, চামড়া ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।