
কুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ফারুক হোসেন বলেন, “১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে যে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়েছিল, তাতে উপাচার্য ও শিক্ষকদের যেভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে, তার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে ফিরব না। শনিবার (৩ মে) আমাদের অবস্থান নবনিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যকে জানিয়েছি।”
এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ২৫ ফেব্রুয়ারি কুয়েট বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন। টানা বন্ধের মধ্যে শিক্ষার্থীরা একদফা দাবি নিয়ে আন্দোলন ও আমরণ অনশন শুরু করলে সরকার ২৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে অপসারণ করে।
পরবর্তীতে, ১ মে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলীকে কুয়েটের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত শনিবার অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় নেওয়া হয়। তবে শিক্ষকদের অনড় অবস্থানের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা কার্যক্রম ফের চালু হওয়া নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: