
রোববার (৪ মে) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর বেঞ্চে এ বিষয়ে আদেশ দেন আদালত। এদিন জামায়াতের পক্ষে মামলাটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির।
এর আগে ২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বর হাইকোর্টের রায়ে জামায়াতের রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন বাতিলের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি শুরু হয়। পরে পর্যায়ক্রমে শুনানির তারিখ ধার্য করা হলেও মূল আইনজীবীর অনুপস্থিতিতে ১৯ নভেম্বর আপিল বিভাগ মামলাটি 'ডিসমিসড ফর ডিফল্ট' (ডিফল্টের কারণে খারিজ) বলে খারিজ করে দেয়।
তবে একই বছরের ২২ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ জামায়াতের খারিজ হওয়া আবেদনটি পুনরুজ্জীবিত করে শুনানির অনুমতি দেয়। এরপর থেকে মামলাটি কার্যতালিকায় ওঠার অপেক্ষায় ছিল।
আইনজীবী শিশির মনির শুনানিতে বলেন, রিটটি জনস্বার্থে করা হয়েছে দাবি করা হলেও মূলত তা ব্যক্তি ও রাজনৈতিক স্বার্থে করা হয়েছিল। রিটকারীদের এ ধরনের রিট করার আইনগত এখতিয়ার ছিল না বলেও তিনি দাবি করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্ট এক রিটের রায়ে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে। এরপর নির্বাচন কমিশন ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াত সাময়িকভাবে নিবন্ধিত দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের স্বীকৃতি পেলেও ২০০৯ সালে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ২৫ জন নেতা জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার পর শেষ পর্যন্ত হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে।
আসন্ন শুনানিতে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্তের দিকেই এখন রাজনৈতিক মহলসহ সংশ্লিষ্টরা তাকিয়ে রয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: