শুক্রবার রাতে যাত্রাবাড়ী মধ্য থানা জামায়াত আয়োজিত দু’দিনব্যাপী লিডারশীপ ট্রেনিংয়ের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, “ইসলামের দাওয়াত কেবল মুসলিমদের জন্য নয়; বরং সমাজের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এটা আল্লাহর বিধান। দ্বীনের দাওয়াত দেওয়া ঈমানদারদের দায়িত্ব, আর গ্রহণ করা ব্যক্তির ব্যাপার। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ির কোনো সুযোগ নেই।”

তিনি জানান, জামায়াতে ইসলামী ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে নিয়মিত সভা-সমাবেশ ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করে থাকে। সম্প্রতি রাজধানীতে আয়োজিত এক প্রীতি সমাবেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ বিভিন্ন ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ অংশ নিয়েছেন।

ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে জামায়াতের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, “স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জামায়াতে ইসলামী আপোষহীন। প্রতিবেশীসহ সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে সমতা ও মর্যাদার ভিত্তিতে সম্পর্ক রক্ষা করা হবে।”

তিনি আরও দাবি করেন, “০৫ আগস্ট পরবর্তী ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলার ষড়যন্ত্র রুখে দিতে জামায়াতে ইসলামী ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছে। অতীতে ফ্যাসিস্ট সরকার এসব ঘটনার জন্য ইসলামী দলগুলোর ওপর দায় চাপিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছে। তবে জনগণ এখন সচেতন।”

নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, “আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করে হিন্দু নেতৃবৃন্দকে সাহস যুগিয়েছেন এবং নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকতে। তাঁর এ ভূমিকা ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে অন্যান্য ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দ।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যাত্রাবাড়ী মধ্য থানা আমীর অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির, কেন্দ্রীয় সদস্য মোহাম্মদ কামাল হোসেন (ঢাকা-৫) ও অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান (ঢাকা-৬)।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন থানা সেক্রেটারী মাওলানা ইমাম হোসাইন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মো. আব্দুর রব, মাওলানা আব্দুল মান্নান এবং যাত্রাবাড়ী পূর্ব থানা আমীর শাহজাহান খান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মহানগরী ও থানা পর্যায়ের বিভিন্ন দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।